বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
উত্তপ্ত ইরাকের রাজনীতি

মোক্তাদার অবসরের ঘোষণায় বাগদাদে সংঘর্ষ, নিহত ২০

প্রভাবশালী ইরাকি শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণায় রাজধানী বাগদাদে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবারের এ সহিংসতায় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। সরকারি ভবনগুলোতে চড়াও হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ এলাকায় সরকারি সদর দফতর ও দূতাবাসগুলো অবস্থিত। কয়েক বছরের মধ্যে এটি রাজধানীতে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে সদর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষয়িষ্ণু সরকারি ব্যবস্থা সংস্কারে অন্য শিয়া নেতা ও দলগুলোর ব্যর্থতার কারণে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে মনে করা হচ্ছে। সদরের ঘোষণার পর রাজপথে নেমে আসেন তার সমর্থকরা। তারা গ্রিনজোনে সরকারি ভবনগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় সদরের নিয়ন্ত্রিত মিলিশিয়াসহ তার অনুসারীরা ইরান-সমর্থিত আধা সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। সদর ইরাকের রাজনীতিতে খুবই জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজনীতিক। দেশটিতে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে এবং তিনি সরকার গঠন নিয়ে দীর্ঘ সংকটের কেন্দ্রে ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে সদরের রাজনৈতিক মিত্ররা বেশির ভাগ আসনে জয়ী হয়। কিন্তু সরকার গঠন নিয়ে শিয়া মতাবলম্বী অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তার পক্ষের পার্লামেন্ট সদস্যরা পদত্যাগ করেন। এর আগে রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রতিবাদে পার্লামেন্ট ভবনের ভিতর ঢুকে তা ব চালানোর পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে শত শত লোক বাইরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর দেশটির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া সব রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানানোর দুই দিন পর সদর অবসরের ঘোষণা দিলেন। ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ পরে জানিয়েছে, রাজনীতিতে সহিংসতা ও অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সদর অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত দুই দশক ধরে ইরাকের জনগণের মধ্যে এবং রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন ৪৮ বছর বয়সী মোক্তাদা আল-সদর। তার নেতৃত্বাধীন মেহেদি আর্মি ইরাকের অন্যতম শক্তিশালী মিলিশিয়া বাহিনী।

সর্বশেষ খবর