পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের মামলা পৌঁছে গেছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার বিশেষত কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। সিবিআইর তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে আজ স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
এদিকে তরুণী চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় প্রতিদিনই প্রতিবাদ মিছিল ও মিটিংয়ে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি পোস্টেই আরজি করের বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে রাত দখল অভিযানে নামে মেয়েরা। তাদের সঙ্গে নেমেছিল হাজারো মানুষের ঢল। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ছাত্রসমাজ। তাতে যোগ দিয়েছেন লাখো সাধারণ মানুষও। শুধু তাই নয়, অভূতপূর্বভাবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আর মোহামেডানের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে রাস্তায় নামেন। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম বলছে, ভারতের স্বাধীনতার পর শাসকের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে এত বড় আন্দোলন আগে দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ।
এবার সেই আন্দোলন আরও তীব্র করতে আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে। ২৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে নবান্ন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রসমাজ। এ অভিযানের একটাই দাবি, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস। দফা এক, দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’
তবে এবার সেই দাবি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে উঠে আসায় আবারও ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ছাত্রসমাজের নামে দেবদীপ অধিকারীর একটি পোস্টে মমতার পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস। দফা এক, দাবি এক মমতার পদত্যাগ। ২৬ আগস্টের মধ্যে পদত্যাগ না করলে ২৭ তারিখ নবান্ন চলো অভিযান। প্রত্যেক বাড়ি থেকে নিজ উদ্যোগে অন্তত একজন করে আসার আহ্বান। কোনো অশান্তি নয় পাশে থাকুক পুলিশও। আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ।’
বিজেপি যে এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে তা এদিন স্পষ্ট করেছেন ভারতের সাবেক মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন।