শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

ইরানে অপহৃত ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হলো

ইরানে অপহৃত ১২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে ফেরত এনেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুবাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (এফজেড-৫৮৩) তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। এরপর তাদের সিআইডি সদর দফতরে নেওয়া হয়। যশোরের একটি বেসরকারি সংস্থা রাইটসের সহযোগিতায় তাদের বাংলাদেশে আনা হয়। পুলিশ সদর দফতরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে মোট ৪২ জনকে বাংলাদেশে আনা হলো। এ ছাড়া একজন বাংলাদেশির লাশও আনা হয়।

রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মলি্লক জানান, ইরান, গ্রিস, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি দেওয়ার নামে এসব বাংলাদেশিকে ইরানের বন্দর আব্বাসে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। পরে নির্যাতিতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়ে অপরাধী চক্র বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিত। রাইটস ব্যাপারটি জানার পর বাংলাদেশ ও ইরান সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবহিত করে। ইরান পুলিশ তাদের উদ্ধার করে তেহরানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হস্তান্তর করে। পরে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফেরত আসা ১২ বাংলাদেশি ইরানের বন্দর আব্বাসে প্রায় তিন মাস বন্দী ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্দর আব্বাসে সন্ত্রাসীদের হাতে বন্দী বাংলাদেশিদের শারীরিক নির্যাতন করা হতো। তাদের চিৎকার মোবাইল ফোনে স্বজনদের শোনানো হতো। স্বজনরা বন্দীদের বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাঠাতেন। রাইটস খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বন্দর আব্বাসে সন্ত্রাসীদের হাতে ১০৮ জন বাংলাদেশি বন্দী রয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ জনের তালিকা তাদের হাতে আসে। রাইটস বাংলাদেশ ইরানের সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করে সন্ত্রাসী চক্রটির সদস্যদের গ্রেফতার ও বন্দীদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। ইরান পুলিশ গ্রেফতার করে নান্নু মিয়া ও তাজউদ্দিন নামে দুই বাংলাদেশিকে। ফলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় চক্রটি। উদ্ধার হন বন্দী বাংলাদেশিরা। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ৩০ জন জীবিত ও একজনকে মৃত ফেরত আনা হয়। আর দ্বিতীয় দফায় গতকাল ফিরিয়ে আনা হলো ১২ জনকে। শীঘ্রই অন্যদের দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিনয়কৃষ্ণ মলি্লক।

সর্বশেষ খবর