বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

শেরপুরের মণ্ডা দেশজুড়ে

হাসান বাদল, শেরপুর

শেরপুরের মণ্ডা দেশজুড়ে

‘শেরপুরে মন্ডা খেতে ভারি মজা’ কথাটি আজও প্রচলিত আছে। শুধু তাই-ই নয়, এই মন্ডার কদর রয়েছে দেশজুড়েই। কার্যত শেরপুরের বিখ্যাত মন্ডার খ্যাতি আগে থেকেই স্থানীয়, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মোটামুটি কাছের সব রাষ্ট্রেই আছে। বর্তমানে ই-কমার্স বা জেলা ওয়েবসাইট আওয়ার শেরপুরসহ বেশ কিছু অনলাইন এখন অনলাইন অর্ডারে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে এই মন্ডা। কেবল মাত্র অনলাইন গ্রাহকদের মাধ্যমেই মাসে মণ তিনেক মন্ডা বিক্রি হচ্ছে। এ মন্ডার এখানে বাজার দর প্রতিকেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতিটি মন্ডার দাম ২০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে সব মিষ্টির দোকানেই কমবেশি মন্ডা তৈরি হতো। নানা কারণে অনেকেই এখন আর মন্ডা তৈরি করে না। তবে অনুরাধা, আদি গিরীশ, পার্থ মিষ্টান্ন ভান্ডার, দুর্গা চরণ ও স্বদেশ মিষ্টান্ন ভান্ডার এখনো স্বকীয়তা ধরে রেখেছে। এসব দোকানে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ছেলে যুবক বুড়োদের মন্ডা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আর দিনদুপুরে সামান্য ক্ষুধায়ও অনেকে ঝটপট বিশুদ্ধ একটি মন্ডা ও এক গ্লাস পানি খেয়ে ক্লান্তি মিটিয়ে নেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ছানা, ক্ষীর, এলাচি ও চিনির সমন্বয়ে মন্ডা উৎপাদন হওয়ায় এতে রয়েছে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, সি, ডি, বি-১২, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন, ম্যাগনেশিয়াম, নিয়াসিন। নিয়মিত মন্ডা খেলে শরীরের হাড় সুঠাম হয়। অনেকেই মনে করেন, মন্ডায় কামশক্তি বৃদ্ধি হয়। চিনির পরিমাণ কম থাকে বলে ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত মন্ডা খেতে পারেন। যাদের সরাসরি দুধ খাওয়া সমস্যা, তারা মন্ডার স্বাদ নিয়ে শরীরের দুধের চাহিদা মিটাতে পারেন।

অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী পাপ্পি দে জানিয়েছেন, শেরপুরে কৃষকদের উৎপাদিত খাঁটি দুধ এই শিল্পটিকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে। খাঁটি দুধের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, ঋণদানসহ সরকারি সুবিধা দিলে এখানে মন্ডাসহ নানান মিষ্টির নতুন নতুন উৎপাদক তৈরি হতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর