শিরোনাম
সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ

বিনামূল্যের জমি না নিয়ে আগ্রহ অধিগ্রহণে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে বিনামূল্যে অন্যের দান করা জমি গ্রহণের চেয়ে সরকারের অর্থ খরচ করে অধিগ্রহণেই বেশি আগ্রহ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের! জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠায় এমনটাই দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনেকের মতে, অধিগ্রহণে কেনাকাটার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। দানের জমিতে সেই সুযোগ না থাকায় অনাগ্রহ সংশ্লিষ্টদের।

জানা গেছে, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে কয়েক ধাপে সারা দেশে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ হবে ৩২৯টি টিএসসি। এই প্রকল্পের আওতায় জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলায় একটি টিএসসি স্থাপনে তিন একর জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছে অধিদফতর। খবর পেয়ে বকশিগঞ্জের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণে উপজেলা সদর হতে আড়াই কিলোমিটার দূরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার সঙ্গে নিজস্ব তিন একর একত্রিত জমি দান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জমিটি গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে গত ৮ জুন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেন তিনি। তবে অজ্ঞাত কারণে বিনামূল্যের ওই জমি গ্রহণের উদ্যোগ না নিয়ে সরকারের অর্থ খরচ করে আরও খারাপ অবস্থানের জমি অধিগ্রহণের  তোড়জোড় চলছে। এ ব্যাপারে ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টিএসসি স্থাপন প্রকল্প’- এর পরিচালক পীযূষ কান্তি নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি তদন্ত করে দানের জমিটি নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে এক মাস আগে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। জমিটির লোকেশন ভালো। এ ছাড়া দানের জমি শুধু রেজিস্ট্রি করলেই হয়। অধিগ্রহণ করতে সময়ও বেশি লাগে, অর্থও খরচ হয়। মন্ত্রণালয়ের মত পেলে জমিটি রেজিস্ট্রি করে ফেলতে পারতাম। ডিসেম্বরের শেষে আমি অবসরে যাব। এরপর অন্য কেউ বিষয়টি দেখবেন।

সর্বশেষ খবর