বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

জোট না একক সময়মতো সিদ্ধান্ত

-মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

জোট না একক সময়মতো সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগত না এককভাবে অংশ নেব তা সময়মতো জানাব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে জানতে চাইলে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দলের সাংগঠনিক অবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, সংগঠন শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীরা বিরতিহীন কাজ করছেন। বর্তমান ইলেকশন কমিশন প্রসঙ্গে বলেন, আশা করি আগামীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমাদের মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। রমজান আসার আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। এ সংকট সৃষ্টিকারী মজুদদাররা শক্তিশালী সিন্ডিকেট। জনপ্রতিরোধ ছাড়া সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ না হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকান্ডের জবাবদিহি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাড়ায়-মহল্লায় গুন্ডাদের আধিপত্য কমে এসেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকলে এ বাহিনী আরও ভালো করবে।

সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, সফলতা অনেক। দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মেট্রোরেলসহ নানামুখী ব্যবস্থার মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় পৃথিবীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ব্যর্থতাও অনেক। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি আছে। দেশের অর্থ পাচার বন্ধ করতে পারেনি। সরকারি দলের অনেক এমপি-মন্ত্রী আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আমলাদের অনেকেও একই পথে উপার্জন করেছেন। এরা সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন না। নতুন করে এক লাখ কোটিপতি হয়েছেন। আইটি সেক্টর ছাড়া আশানুরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা পার্লামেন্টকে বিতর্কের কেন্দ্র করতে পারেনি। যদিও এজন্য সরকার এককভাবে দায়ী নয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে বিরোধী দলগুলো মত প্রকাশ করছে। সরকারের বিরুদ্ধে যা বলছে গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন না তাদের নিজ দলে গণতন্ত্র না থাকায়।

সর্বশেষ খবর