বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মেরিন ইঞ্জিনিয়ার খুনে রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের পাড়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন মজুমদারকে খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২২ অক্টোবর রাতে ওই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার খুন হন। ওই ঘটনায় অর্ধশত সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাব্বী হোসেন, সোহেল, দুলাল ও সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে গ্রেফতারকৃতরা। তাতেই ওই মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এই তরুণ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে কামরাঙ্গীর চরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সোহেল, দুলাল ও সজীবকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেলকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। গতকাল ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশে রাব্বী ও তার কয়েকজন সঙ্গী ধানমন্ডি লেকে ওতপেতে ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে মোবাইল-মানিব্যাগ নিতে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন রাব্বী। একপর্যায়ে শাহাদাতকে ছুরিকাঘাত করে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান রাব্বী ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তারা আশপাশের এলাকার বেশকিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে শনাক্ত করে। তাদের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি জব্দ করা হয়। তবে মোবাইল ও মানিব্যাগ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। শাহাদাত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত আবদুল বারী মজুমদারের ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। এক ছেলে দুই মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। স্ত্রীর নাম আজমির সুলতানা। ১৯ নর্থ সার্কুলার রোড কলাবাগানে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কলাবাগান ভূতের গলির বাসা থেকে হাঁটতে বের হন শাহাদাত। এরপর থেকে পরিবার তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। নিহতের বড় ভাই মোতালেব হোসেন জানান, শাহাদাত বিদেশি জাহাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক মাস আগে আমেরিকা থেকে দেশে আসেন তিনি।

সর্বশেষ খবর