বগুড়ায় হলুদ চাষে স্বপ্ন বুনছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির পাশাপাশি হলুদ চাষে ঝুঁকছেন তারা। ভালো দাম আর ফলন পাওয়ার আশায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন, মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে হলুদ অন্যতম। প্রতিদিনের তরকারি রান্নার কাজে হলুদের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
জানা যায়, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘিসহ অন্যান্য উপজেলায় ব্যাপকভাবে হলুদ চাষ শুরু হয়েছে। জেলার স্থানীয় কৃষকরা সবজির পাশাপাশি হলুদ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সারা বছর এর চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনের তরকারি রান্নার কাজে হলুদের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। শুধু রান্না নয় ওষুধ শিল্পেও হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের দেশে উৎপাদিত এ মসলা ফসলের খাতটি এখনো আমদানিনির্ভর। হলুদের আমদানিনির্ভরতা কমাতে এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প কিছু নেই। এজন্য কৃষি বিভাগ থেকে হলুদ চাষে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে হলুদের দামও ভালো। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার উথলী, নারায়ণপুর, রহবল, দেউলী, ময়দানহাটা, সৈয়দপুর, মোকামতলা এলাকায় হলুদের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। গত বছরেও ৩০০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ করা হয়েছিল। উপজেলার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি বছরই কম বেশি হলুদের আবাদ করেন। এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। গাছ ভালো হয়েছে। হলুদ চাষে বাড়তি জমি বা খরচের দরকার হয় না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার জানান, হলুদ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সফলভাবে চাষাবাদ করা যায়। এ জন্য আবাদি জমির পাশাপাশি বসতবাড়ির আশপাশের হালকা ছায়াযুক্ত পতিত জমিতে হলুদ চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। শিবগঞ্জে অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি সফলভাবে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসল চাষ হয়ে থাকে। মসলা জাতীয় ফসলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে এর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।