রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়ন তুলেছেন ৩৮৭ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩১৮ জন। সিনেট সদস্য পদে ৬৯ জন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ড সেতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচন হবে। সেই লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিশন। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। কমিশনের তথ্যমতে, ৩১৮ জনের মধ্যে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ৭ জন, এজিএস পদে ৮ জন, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে ২ জন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে ৪ জন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৫ জন, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৩ জন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৫ জন, সহকারী সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৬ জন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে ৫ জন, সহকারী মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে ৩ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৩ জন, সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৬ জন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে ৯ জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৪ জন, ক্রীড়া ও খেলাধুলাবিষয়ক সম্পাদক পদে ৭ জন, সহকারী ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে ৩ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৪০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে হল সংসদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে প্যানেল হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ২৮টি, ছাত্রদল ২৮টি, শিবির ৩১টি, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও উত্তরণ সাহিত্য সংগঠন ২৬টি, আধিপত্য বিরোধী ঐক্য ২৬টি, অপরাজেয় ৭১ জাগ্রত ২৪-১৪টি, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ ১৫টি মনোনয়ন তুলেছে। অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ভোটে অন্তর্ভুক্তি নির্বাচনে পদপ্রার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে কমিশন। এতে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ সভা বয়কট করে বের হয়ে যায় ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতারা। সভায় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষকে যৌক্তিক কারণে এ বছর ভোটে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে নয়। কেউ রাখার পক্ষে কিন্তু নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নয়।
তাই কমিশন এ মতামত পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমদ রাহী বলেন, প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।