প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা বছর অনেক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বসে থাকি বইমেলা কখন আসবে। ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রেরণা দেয়। প্রতিবাদের ভাষা শেখায় এই মাস। বিজয়ের পথ দেখায় এই মাস।
তিনি আজ সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিবছর গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্যের অনুবাদের ওপর জোর দিয়ে আসছি। এ বছর বাংলা একাডেমি থেকে বাংলা সাহিত্যের মীর মশাররফ হোসেনের অমর উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’র ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমি আমাদের ধ্রুপদী ও সাম্প্রতিক সাহিত্যের সুনির্বাচিত সম্ভার বিশ্বপাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে আরও ব্যাপকভিত্তিক ও মানসম্পন্ন অনুবাদের আহ্বান জানাই।
‘সেই সঙ্গে আমাদের কবি-লেখকদের কাছে অনুরোধ- তৃণমূলের গণমানুষের জীবন ও সংগ্রাম আপনাদের সাহিত্যকর্মে ফুটিয়ে তুলুন। দেশের সকল নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংরক্ষণ ও বিকাশেও আপনাদের সবাইকে আরও মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানাই।’
বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, বাংলা একাডেমিতে তার অনেক সময় কেটেছে। তার প্রয়াত বন্ধু বেবী মওদুদকে নিয়ে এখানকার লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতেন। অনেক সময় কাটাতেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আসতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে অনেক নিয়মে বন্দি থাকতে হয় এখন। সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আবার কবে বইমেলায় আগের মতো ঘুরে বেড়াতে পারবো! মুক্ত হয়ে বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর প্রত্যাশায় থাকলাম।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান, প্রকাশকদের পক্ষে অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন