বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বিজেএমসির অধীন পাটের মিলগুলোকে লাভজনক করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এর জন্য গত দশ বছরে ২০০৯-১৮ সময়ে মোট পাঁচটি বন্ধ মিল চালু করা হয়েছে। এসব মিলগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নে খুলনা, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়া পাট পণ্য ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, চালু মিলগুলো হচ্ছে-পিপল্স জুট মিলস্ লিমিটেড (বর্তমানে খালিশপুর জুট মিলস), কওমী জুট মিলস্ লিমিটেড (বর্তমানে জাতীয় জুট মিলস), দৌলতপুর জুট মিলস্ লিমিটেড, কর্ণফুলী জুট মিলস্ লিমিটেড ও ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরি। এসব পাটকলের ১৬ হাজার ৯০০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল স্থাপন, বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনসহ ৬টি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বেসরকারি ৫৬টি পাট কল বন্ধ রয়েছে :
রাজশাহী-৩ আসনের এমপি মো. আয়েন উদ্দিনের অপর প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি পাটকলের সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৯টি জুট মিল চালু আছে। তবে দেশে বেসরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৮১টি। যার মধ্যে ৫৬টি কল বন্ধ রয়েছে।
এমপি আলী আজমের (ভোলা-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে কম বেশি ৬.১৮ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়। বেনজীর আহমদের (ঢাকা-২০ ) প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার পাটচাষীকে আধুনিক প্রযুক্তিতে উফশী পাট ও পাটবীজ উৎপাদনের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম