পঞ্চগড়ে চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এই জেলায়। এরমধ্যে গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক । সূর্যের দেখা মিলছেনা সারাদিন। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দরিদ্র শীতার্ত মানুষেরা শীতের কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে দিন পার করছেন। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এই জেলায় প্রায় দুই লাখ অসহায় শীতার্ত মানুষ রয়েছেন। এইসব মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদেরও দেখা মিলছেনা। শ্রমিক শ্রেণীর এই মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেনা। ফলে আয় কমেছে তাদের।
এইসব শীতার্ত মানুষদের শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের কাপড়ের অভাবে এসব মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার এমন দুই লাখ মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ২৮ হাজার কম্বল। তাই কম্বল বিতরণে হিমসিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। তবে আরও কম্বলের চাহিদা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া বিভাগের তথ্য মতে, এ মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় ১০.৬ ড়িগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা তেঁতুলিয়া আবহাওয়া দপ্তর রেকর্ড করেছে। কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি শিশিরে নেমেছে প্রবল শীত।
তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাক্তার পাড়া গ্রামের নজিবুল হক (৭০) জানান, ঠাণ্ডায় হাত অসাড় হয়ে যাচ্ছে। এখনও কোনও কম্বল পাইনি। কাজকর্ম কিছু করা যায়না। কাপড় কিনতেও পারছিনা টাকার অভাবে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডব্লিউ জানান, কম্বলের পরিমাণ কম হয়ে গেছে। শীতার্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। বিতরণে হিমসিম খেতে হচ্ছে। কম্বল আরও দরকার। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তশালীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় প্রায় তিরিশ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বল বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশাকরছি খুব শিঘ্রই আরও কিছু কম্বল বরাদ্দ আসবে। তা দিয়ে শীত মোকাবেলা করা যাবে।
সাধারন মানুষের প্রত্যাশা সরকার কম্বলের বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্রুত শীতের কাপড় পৌঁছান হোক তাদের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ