এল ক্ল্যাসিকোর লড়াই। দর্শকরা অধীর অপেক্ষায়। ফেসবুক লাইভে লাখ লাখ দর্শক। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সমর্থক। রিয়াল-বার্সার লড়াই হলে এমনিতেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে আগুনের উত্তাপ অনুভব করা যায়। শনিবারের এল ক্ল্যাসিকোতে ছিল ভিন্ন উপলক্ষ। লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ এল ক্ল্যাসিকো! কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তি না হলে মেসিকে সামনের মৌসুমে ভিন্ন জার্সিতে দেখা যাবে। বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি সমর্থকদের সামনে রিয়াল-বার্সার ফুটবলাররা দুর্দান্ত এক ম্যাচই উপহার দিলেন। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে সে লড়াইয়ে ২-১ গোলে বিজয়ী হলো রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার শিরোপা রেসে এগিয়ে গেল জিনেদিন জিদানের দল।
বার্সেলোনার সেই পুরনো কৌশল। টিকি-টাকার ফুটবল। ছোটো ছোটো পাসে বল দখলে রাখা। ধীরে ধীরে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স লাইন ভাঙার চেষ্টা করা। রিয়াল মাদ্রিদের কৌশল ছিল, বার্সাকে বল দখলে রেখে খেলতে দাও। সুযোগ বুঝে দ্রুতলয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াও। রোনাল্ড কোম্যানের কৌশলের উপর বিজয়ী হলো জিদানের কৌশল। করিম বেনজেমার বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল, ভিনিসিউসের গতি, কাসেমিরো-টনি ক্রুজদের কৌশলী পাস বার্সেলোনাকে কুপোকাত করল। তবে এল ক্ল্যাসিকোর লড়াইয়ে কোনো একটি দলকে সেরা প্রমাণ করা সহজ কাজ নয়। লিওনেল মেসি, ডেম্বলে, ফ্রেঙ্কি ডি জঙ, ডেস্টরা দুর্দান্ত খেলেছেন। ১৮বার রিয়ালের জাল লক্ষ্যে শট নিয়েছেন। এরমধ্যে চারবার ছিল অন টার্গেটে। রিয়াল মাদ্রিদ ১৪ বার শট নিয়েছে বার্সার জাল লক্ষ্যে। অন টার্গেটে ছিল ৩টা শট। বল দখলের লড়াইয়ে বার্সা এগিয়ে ছিল ৬৯-৩১ ব্যবধানে। কিন্তু পরিসংখ্যান দিয়ে কি এল ক্ল্যাসিকোর লড়াইকে মূল্যায়ন করা যায়!
এল ক্ল্যাসিকোর লড়াইয়ে ১৯৭৮ সালের পর প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক পরাজয়ের শিকার হলো কাতালানরা। সবমিলিয়ে চারটি এল ক্ল্যাসিকোতে জয়হীন বার্সেলোনা। আর রিয়াল মাদ্রিদ ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো একই লিগে দুইবার বার্সেলোনাকে পরাজিত করল। বার্সেলোনাকে হারিয়ে লা লিগায় ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান পয়েন্ট নিয়েও হেড-টু-হেডে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে আছে অ্যাটলেটিকো। ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে বার্সেলোনা।