একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে এল ক্লাসিকোয় নামছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ অভিজ্ঞতায় ঠাসা। গত বছরটা ভালো যায়নি বার্সার। ফ্লিকের এ ‘কিড’ টিমের হাত ধরেই এবার রিয়াল মাদ্রিদের হার দেখতে চান বার্সা সমর্থকরা। ১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ২-এ রিয়াল। আন্সেলোত্তির টিম জিতলে ধরে ফেলবে বার্সেলোনাকে। আর রাফিনহাদের জয় মানে দূরত্ব আরও। তাই আজ স্পেন তো বটেই, গোটা বিশ্বের রিয়াল-বার্সা সমর্থকদের নজর সান্তিয়াগো বের্নাবৌয়ে। অপেক্ষা জমজমাট এক এল ক্লাসিকোর।
কিলিয়ান এমবাপে প্রথমবার খেলবেন এল ক্লাসিকো। রিয়াল সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে নিয়েও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি সপ্তাহেই হ্যাটট্রিক পান এ ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে ওই ম্যাচেই চোট পেয়ে রদ্রিগো না খেলার তালিকায়। যেমন খেলতে পারবেন না থিবৌ কুর্তোয়াও। তবু এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। আছেন এমবাপ্পে, জুড বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়াস আর এন্দ্রিকের মতো প্রতিভাবান, লুকা মদ্রিচের মতো অভিজ্ঞ, ফেদেরিকো বালবেদ্রের মতো বুদ্ধিমান মিডফিল্ডার সব মিলে আশার আলো অনেক।এসবের মধ্যেই একঝাঁক কম বয়সি ফুটবলারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামাল ১৭ বছর। পেদ্রি, মার্ক কাসাদো, ফের্মিন লোপেস, আলেহান্দ্রো বালদে, আনসু ফাতি পাঁচজনই ২১-এর কোঠায়। গাবি ২০ বছর। ৩৬ বছরের লেবানডস্কি এ গ্রুপটার কাছে যেন বাড়ির ছোট কাকার মতো। পেদ্রি, কাসাদো আর লোপেস গত বুধবারই বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে যে খেলা দেখিয়েছেন, তাতে তাদের পিছিয়ে রাখা যায় কি?
বায়ার্নের মাইকেল ওলিসে, হ্যারি কেনরা বেশ কয়েকবার চাপে ফেলে দিয়েছিলেন বার্সা ডিফেন্সকে। কিন্তু ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিয়ে ফেললেন পেদ্রি, কাসাদো, লোপেসরা। এ তিনজনের সঙ্গে ইয়ামাল রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন বায়ার্ন ডিফেন্সকে। সামনে ফলার মতো কাজ করলেন রাফিনহা ও লেবানডস্কি। সেই ম্যাচের মতো আজকের রিয়াল বনাম বার্সাকেও তাই অনেকে বলছেন, অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের লড়াই।