এশিয়ান কাপ ফুটবল চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ একবারই খেলেছে। ১৯৮০ সালে সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও আর কখনো এশিয়া কাপে খেলতে পারেনি পুরুষ জাতীয় দল। বাছাইপর্ব খেলেই বিদায়, ৪৫ বছর পর আবারও খেলতে চায় বাংলাদেশ। দারুণ শক্তিশালী দল গড়ে লড়াইয়েও নেমে পড়েছে লাল-সবুজের দল। ইংলিশ লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরী গ্রুপের প্রথম ম্যাচ থেকে খেলছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে যোগ হয়েছেন কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম ও ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম। তারা মাঠে নেমেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। প্রথমটি ড্র পরেরটি হার। এরপরও চূড়ান্ত পর্বে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে মিলিয়ে আরও চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।
হামজারা জাতীয় দলে খেলার পর দেশের ফুটবলে জোয়ার লক্ষ করা যাচ্ছে। এত উন্মাদনা ও আগ্রহ অথচ নারী জাতীয় দল নতুন এক ইতিহাস গড়তে পারে তা কারও নজরে আসছে না। হ্যাঁ, হামজাদের আগেই স্বপ্নের এশিয়া কাপে জায়গা করে নিতে পারে আফঈদারা। সেটা হতে পারে কালই। নারী এশিয়া কাপ বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে জয় পেলেই চূড়ান্ত পর্ব অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। ৫ জুলাই তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান। আসরে সবচেয়ে দুর্বল দল হওয়ায় ওই ম্যাচ ঘিরে বাটলারের মেয়েদের ভয় থাকার কথা না।
প্রতিপক্ষ দলটা মিয়ানমার বলেই যত দুশ্চিন্তা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে (১২৮-৫৫) ৭৩ ধাপ এগিয়ে স্বাগতিকরা। তবে ম্যাচে র্যাঙ্কিং কোনো ফ্যাক্টর নয়। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ৩৬ ধাপ পিছিয়ে থেকেও বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তহুরারা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের তুলনায় মিয়ানমার অনেক এগিয়ে। তারপর আবার নিজেদের মাঠেই ম্যাচ। দুই দেশের শেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশ শোচনীয় হার মানে। টেকনিক, পারফরম্যান্স সবকিছুতে এগিয়ে মিয়ানমার। হেড কোচ পিটার বাটলারও বলেছেন, ‘বুধবার কঠিন পরীক্ষা। নিজ মাঠে মিয়ানমার মেয়েদের হারানোটা কঠিন। তবে প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী আমরা। অতীতে যাই ঘটুক না মেয়েদের ওপর ভরসা রয়েছে। সেরাটা দিয়েই দেশকে বড় কিছু দিতে চাইবে তারা।’ ম্যাচ ড্র করলেও বাংলাদেশের সম্ভাবনা থাকবে। তবে বাংলাদেশের ফাইনাল কালই। ইয়াঙ্গুনে বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
এবারে বাংলাদেশ সত্যিই অপ্রতিরোধ্য। ২০১৪ ও ২০২২ সালে এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে খেলেছে বাংলাদেশ। দুই আসরে জয়ের খাতা ছিল শূন্য। গুণে গুণে শুধু গোলই হজম করেছে। সেখানে কি না এবার শুরুটা করেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলে জয়ে। সে ক্ষেত্রে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখাতেই পারেন বাংলাদেশের মেয়েরা।