মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে গেলো আফগানিস্তান। দলীয় ৭২ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়লো তারা। আর এর মধ্য দিয়ে মিরপুরে হুমড়ি খেল আফগানগর্জন।
শুরুটা করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু আনেন সাকিব আল হাসান। এরপর জোড়া উইকেট পান আব্দুর রাজ্জাকও।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় টাইগাররা। বল হাতে প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট পান মাশরাফি। ইনিংসের শুরুতেই পাওয়া উইকেটের আবহ পুরো দলের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। সাকিব দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নেন। প্রথম ওভারে কৃপণ বোলিং করে মাত্র দুটি রান দেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে গুলবাদিন নাইবকে জীবন দেন সাকিব। লং অনে দাঁড়িয়ে থাকা সাব্বির রহমান বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ তো হনই, চারটি রান দিয়ে দেন।
অবশ্য সাব্বির তার এই ব্যর্থতার দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছেন পরের বলেই। গুলবাদিনকেই (২১) তালুবন্দি করেন তিনি। সাকিব তৃতীয় বলে নাজীব তারাকাইকে (৭) সাজঘরে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান।
পরের ওভারে সাব্বিরের থ্রোতে রান আউট হন নওরোজ মঙ্গল।
মাশরাফির প্রথম বলে মোহাম্মদ শাহজাদ কভারে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসার দেন মাত্র একটি রান, পানও একটি উইকেট।
আব্দুর রাজ্জাক তার দ্বিতীয় ওভারে আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে (৩) এলবিডব্লু করে সাজঘরে পাঠান। এক ওভার বিরতিতে করিম সাদিক রান আউট হন ফরহাদ রেজার থ্রোতে। রাজ্জাক তার চতুর্থ ওভারে সামিউল্লাহ সেনওয়ারিকেও (১) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলান। মাহমুদউল্লাহও উইকেট পেলেন। শফিকউল্লাহ ১৬ রানে পেছনে মুশফিকের তালুবন্দি হন।
১৭তম ওভারে ফরহাদ রেজা বল হাতে নেন। অন্যদের সফলতার দিনে তিনিও খালি হাতে ফিরলেন না। দৌলত জাদরানকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান এই ডানহাতি পেসার।
এশিয়া কাপে সাকিব-মাশরাফিবিহীন ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতেছিল আফগানিস্তান। তাই টি২০ বিশ্বকাপে ফের বাংলাদেশকে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবী। তিনি বলেছিলেন, সাকিব-মাশরাফিদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কিন্তু মিরপুরে রবিবার বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী ম্যাচে সেই সাকিব-মাশরাফিই ধস নামিয়েছে আফগানদের ব্যাটিং লাইন-আপে।