বিপিএলের চতুর্থ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটস প্রথম ম্যাচেই নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিল। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে তারা। তাই বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল ঢাকা ডায়নামাইটস।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের স্বাদ পায় ঢাকা।
এর আগে ঢাকার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলের স্কোরশিটে ১০ রান যোগ হতেই শামসুর রহমান শুভর উইকেটটি হারায় তারা। দলীয় ২৯ রানের মাথায় দিলশান মুনাওয়ারাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত নাসির। তিনে ব্যাট করতে নামা ডেভিড মালান ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর বরিশাল এই বিপর্যয় কাটায় মুশফিকুর রহীম ও শাহরিয়ার নাফীসের মধ্যকার চতুর্থ উইকেট জুটিতে। এই জুটিতে বরিশাল পায় ৮২ রান। ৩৪ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাফীস। তিনি শিকার মোহাম্মদ শহীদের। বরিশালের অধিনায়ক মুশফিক হার মানেননি। ৩৬ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৪ ওভারে ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মোহাম্মদ শহীদ। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি বোপারা, সাকিব আল হাসানও ডোয়াইন ব্রাভো। ২ ওভারে ১০ খরচ করেও উইকেটশূন্য ছিলেন আন্দ্রে রাসেল।
১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে দেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মেহেদী মারুফ। এই দুই ব্যাটসম্যান দলের স্কোরশিটে যোগ করেন ৮৮ রান। ২৪ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে লঙ্কান এই কিংবদন্তী তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
তিনে ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরেছেন মনির হোসেনের শিকার হয়ে। ২৩ বলে দুটি চারের মারে ঢাকার অধিনায়ক করেছেন ২০ রান। তবে মেহেদী মারুফ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৫ বলে পাঁচটি করে চার ও ছক্কায় ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
বরিশালের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/৯ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১