আর কয়েক ঘণ্টা পরেই হয়তো তার হাতে উঠতে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। তার আগে আজকের এল ক্ল্যাসিকোর রাত রাঙালেন করিম বেনজেমা। ইনজুরি থেকে ফেরার পর নিজেকে খুঁজছিলেন বেনজেমা। অবশেষে তিনি ফিরলেন এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষেই। এল ক্লাসিকোতে কাতালানাদের জালে প্রথম পেরেক ঠুকে দেন ফরাসি এই তারকা। বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন ভালভার্দে-রদ্রিগোরা। শেষ দেখায় গত মৌসুমে রিয়ালকে ৪-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা। এবার সেই শোধ নিয়ে নিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
রবিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যালন ডি’অরের প্রধান দাবিদার করিম বেনজেমাই এগিয়ে দেন রিয়ালকে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট ক্লিয়ার করে বার্সারক্ষণ। গোলরক্ষক টের স্টেগান বল অবধি পৌঁছতেই পারেননি। স্টেগান উঠে দাঁড়ানোর আগেই বিপত্তি। ফিরতি বলে জোরালো শটে গোল করিম বেনজেমার। বিরতির ১০ মিনিট আগে রিয়ালের ব্যবধান বাড়ান ফেডেরিকো ভালভের্দে। ফুটবলার বদলালেও বার্সেলোনার খেলার ধরণ বদলায়নি। তাতেই কি সমস্যা? তবে বার্সেলোনাও গোলের প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছিল। গোলমুখী শটের সংখ্যা খুবই কম। দলের মধ্যে যেন কোনও বোঝাপড়াই নেই।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হলেও খেলায় ধার বাড়ে বার্সেলোনার। আক্রমণে গতি আসে। রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায়। প্রতিপক্ষ গোলে ছিলেন না রিয়ালের এক নম্বর গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়া। ম্যাচে তার সুযোগ নিতে পারল না বার্সেলোনা। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে ফেরান তোরেসের গোলে কিছুটা আশার আলো বার্সেলানায়। মনে হয়েছিল, শেষ দিকে ঝড় তুলে অন্তত ১ পয়েন্ট যদি নেওয়া যায়, এই পরিকল্পনাই ছিল। বার্সেলোনা রক্ষণের ভুলেই বরং হারের ব্যবধান বাড়ল। বক্সের মধ্যে রড্রিগোর পা মাড়িয়ে দেন এরিক গার্সিয়া। ভিএআর-এ বারবার দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে রিয়াল মাদ্রিদের স্কোরলাইন ৩-১ করেন রড্রিগো।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক