রংপুর সিটি করপোরেশন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ৮ হাজার। এর মধ্যে অটোরিকশার ৫ হাজার এবং রিকশার ৩ হাজার। কিন্তু নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ৩০ হাজারের বেশি। বাইরের জেলা ও উপজেলা থেকে শত শত অটোরিকশা প্রবেশ করায় যানজট আরও তীব্র হচ্ছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ দায়িত্বপালনে হিমশিম খাচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগের জনবল সংকট এর প্রধান কারণ। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে এ সমস্যা অচিরেই দূর হবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় রংপুরের আইনশৃঙ্খলাব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। এ সময় পুলিশ মাঠে না থাকায় সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে যায়। ট্রাফিক সদস্যদের অনুপস্থিতিতে যানজট নিয়ন্ত্রণে রংপুর নগরীর সড়কে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর অল্প দিনের মধ্যেই কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফেরে পুলিশ। কাজে ফেরে ট্রাফিক সদস্যরাও। তবে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও ট্রাফিকব্যবস্থা অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, নগরীর ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে দুই সিফটে ১০০ জন দরকার। সেখানে এখন দায়িত্ব পালন করছেন ৪৫ থেকে ৫০ জন। জনবল কম থাকাই বদলির কারণ।
জানা গেছে, প্রতিদিন যারা সড়ক ব্যবহার করছেন, তারাই নিয়ম ভাঙছেন। যত্রতত্র পার্কিং, সড়কের পাশে হকার, উল্টোপথে গাড়ি চালানো ও সিগন্যাল অমান্য করে আগে যেতে চাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে নিয়ম ভঙ্গ করছে মানুষ। শিক্ষার্থীরা যে কয়েক দিন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছিল, তখন ভয়ে কিংবা লজ্জায় কেউ নিয়ম ভাঙত না। এমনটা মনে করছেন অনেকে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম বলেন, বর্তমানে জনবল ও বদলির কারণে কিছুটা সংকট থাকলেও অচিরেই তা দূর হবে। যানজট নিরসনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল না চালানো, উল্টোপথে যানবাহন না চালানোসহ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।