পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
আটককৃত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয় সম্পাদকল শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার (০২ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার আরবি বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। তাদের পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা পথ অবরোধ করে। শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দুই নেতাকে তাদের হেফাজতে নেন। পরে বেলা ৩ টার দিকে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে দুই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আজ এই সেমিস্টারের সর্বশেষ পরীক্ষা ছিলো। দিতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যেতো। তবে আমাদের ভুল হয়েছে বিভাগের শিক্ষকদের না জানিয়ে এসে। তবে আমাদের পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের উপর যাতে মব জাস্টিস না হয় সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়করা মিলে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করেছি।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে আসে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ