বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বরিশাল নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর কমিটি। শুক্রবার বিকেলে নগরের সদর রোড বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। নগরের প্রধান কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবি জানানো হয়। এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, সদস্য সচিব খান মো. আনোয়ার বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদল যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, রিয়াজ খান মিল্টন, রিয়াজুর রহমান রিয়াজ, নেয়ামুল হাসান সজিব, আপন চৌধুরী বাবু ও বাবুল খান বাবুল প্রমুখ।
এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরার গোমতি নদীর উপর নির্মিত ডুম্বুরা বাঁধ বিনা নোটিশে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস বারশাল মহানগর শাখা। জুমা নামাজের পর সদর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি মাওলানা আ. কাদের হোসনাবাদী সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বরিশাল পূর্ব জেলার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মোয়াজ্জেম হোসাইন, বরিশাল পশ্চিম জেলার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইদুর রহমান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম নজরুল, বরিশাল পূর্ব জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, মহানগরী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আ. রাজ্জাক প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আধিপত্যবাদী ভারত সরকার দেশের সীমান্তবর্তী বহু নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকনা মৌসুমে বাংলাদেশকে পুড়িয়ে মারে এবং বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারে। ভারত সরকার খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলছে। ত্রিপুরা বাঁধ রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত বাংলাদেশিদের উপর ছেড়ে দিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। বক্তারা জনগণকে ভারতীয় এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য আহবান জানান এবং বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের মাধ্যমে তাদের এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিডি প্রতিদিন/এএ