ঢাকা-গাজীপুর ট্রেনের বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালু, জয়দেবপুর স্টেশনে সকল ট্রেনের স্টপেজসহ গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবি জানিয়েছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ২১ অক্টোবর জয়দেবপুর স্টেশনে সকাল থেকে ছাত্র-জনতা ও যাত্রীদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের আল্টিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয় এসময়।
শনিবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হক লিখিত বক্তব্যে এসব বিষয়ে কথা বলেন। সংগঠনের ১০ দফা দাবি গুলো মধ্যে রয়েছে, গাজীপুর-ঢাকা বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট ৪৫০ টাকা পুনরায় চালু করা। তুরাগ ট্রেনে ৪টি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা একাধিকবার চালানো। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা। যাত্রী সংখ্যা ও রাজস্ব আয় বিবেচনা করে গাজীপুরে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা ২'শ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। ভাড়ায় চালিত সকল ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা। গাজীপুর থেকে আসনবিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্বেও ঈশা খাঁ, ভাওয়াল ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ২/৩টি কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সকল ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা- গাজীপুর রেল-প্রকল্প দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়াা, সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, জয়দেবপুর জংশনের সাবেক স্টেশন মাষ্টার মো. শাহজাহান, মো. মোশারফ হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান, মো. কামাল পাটোয়ারী, গাজীপুর মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা ফরহাদ হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী সামিউল আলম নাবিল, ফারুক ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল