বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, যাকে পৃথিবীর সব লোক সম্মান করে; সেই প্রফেসর ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সমর্থন জানাব। ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সেই ড. ইউনূসকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন পদ্মা নদীতে চুবিয়ে মারবেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছেন পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেবেন। উনি যাকে ইচ্ছা পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেন। সেই ড. ইউনূস আজ দেশের প্রধান উপদেষ্টা। আর শেখ হাসিনা এক কাপড়ে দৌড়ে গিয়ে প্লেনে উঠেছেন। সঙ্গে একটা শাড়িও নিয়ে যেতে পারেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ভোলার লালমোহনে গতকাল এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজ এসব কথা বলেন। মেজর হাফিজ বলেন, আল্লাহর বিচার কত কঠিন। আমরা আশা ছাইরা দিয়েছিলাম। কোত্থেকে এত তরুণ ছাত্র আসল! আমি অবাক হয়ে গেছি। তিনি ’৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
লালমোহন উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক তাহারাত হাফিজের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলমসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত লালমোহনের ১১ শহীদ পরিবারকে মেজর হাফিজ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।