বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৪ জনকে পৃথক ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল আনিসুল হককে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমদ চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বাড্ডায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় আলামিনের মা মনিহার বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৪ জনকে পৃথক ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসব মামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত ও আহতের ঘটনায় করা হয়।
গতকাল আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তারা সাত থানার পৃথক ৪৭ মামলায় ১৪ জনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা তাঁদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এদের মধ্যে সালমান এফ রহমানকে মতিঝিল থানার ১৭, মিরপুর থানার চার এবং ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আনিসুল হককে মিরপুর থানার সাত এবং বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে মিরপুর থানার সাত, মোহাম্মদপুর থানার এক, ধানমন্ডি থানার তিন, বাড্ডা থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া জুনাইদ আহমেদ পলককে মিরপুর থানার তিন, বাড্ডা থানার দুই ও ধানমন্ডি থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া রাশেদ খান মেননকে মিরপুর থানার দুই, হাসানুল হক ইনুকে মিরপুর-বাড্ডা-ধানমন্ডি থানার একটি করে তিনটি, দীপু মনিকে বাড্ডা থানার একটি, সাদেক খানকে মোহাম্মদপুর থানার দুটি ও আদাবর থানার একটি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানার একটি, সাবেক উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে তেজগাঁও থানার একটি ও সাংবাদিক ফারজানা রূপাকে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া বাড্ডা থানার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী ও শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।