সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ এবং ভ্রমণ সীমিতকরণ প্রস্তাবের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দ্বীপটিতে রাতযাপন নিষিদ্ধ করা হলে ৩ লাখেরও অধিক মানুষের জীবিকা হুমকিতে পড়বে। নিঃস্ব হবেন সেখানে শত শত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা ব্যবসায়ীরা। পর্যটনশিল্পকে চলমান রেখে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান তারা। সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের ব্যানারে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টোয়াক), হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন ও সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (স্কুয়াব) ১৩টি সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। শিবলুল আজম কোরেশীর সভাপতিত্ব ও আবদুর রহিম জিহাদীর সঞ্চালনায় আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুর রহমান, নুরুল আলম, রশিদ আহমদ, সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট কেফায়েত খান, আবদুল মালেক ও হেলালুদ্দীনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সেন্টমার্টিন নিয়ে বিগত সরকারের গৃহীত পর্যটনবিরোধী সব সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১৮ দফা দাবি ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- দ্বীপটিকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা অথবা প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা, বাইরে থেকে আসা বোতলজাত পানি ও কোমল পানীয় নিষিদ্ধ করা, ট্রেনিং সেন্টার খুলে পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের অনুমতি প্রদান, সেন্টমার্টিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দ্বীপবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ, সেন্টমার্টিনকে শতভাগ কুকুরমুক্ত করা, দ্বীপে জেনারেটর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ, সরকারিভাবে সব রাস্তা প্রশস্ত ও পাকা ড্রেন নির্মাণ, দ্বীপের চতুর্দিকে মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণ ও পরিবেশ-সংক্রান্ত সব মামলা প্রত্যাহার করা।