চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনের এনআইডি জটিলতার কারণে সদর হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসক ও ৬৭ জন নার্স আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা পাননি। সেপ্টেম্বরের ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ অবস্থার জন্য সিভিল সার্জন ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস পরস্পরকে দায়ী করছে। সদর হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের ১ তারিখ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমানকে ওএসডি করা হয়। সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান তত্ত্বাবধায়কের অতিরিক্ত দায়িত্ব পান। সিভিল সার্জন নিজের বেতনের জন্য ১৭ ডিজিটের পুরনো এনআইডি ব্যবহার করেছেন। আবার জীবনবৃত্তান্ত অনলাইনে দাখিলের সময় ব্যবহার করেছেন স্মার্ট এনআইডির ১০ ডিজিট। এ ছাড়া মোবাইল নম্বরও ব্যবহার করেছেন দুটি। তার মোবাইলে ওটিপি আসা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই তিনি ডাক্তার-নার্সদের বেতন সাবমিট করতে পারছেন না। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন- হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন। ফলে তারা সময়মতো বেতনবিল সাবমিট দিতে পারেননি। জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শহীদ জাকারিয়া বলেন- সিভিল সার্জনের এনআইডি জটিলতার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি সিভিল সার্জন নতুন-পুরনো দুটি এনআইডি ও দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে তথ্য সাবমিট করেছেন। সমস্যা সমাধানে বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবর পত্র পাঠিয়েছি। ওখান থেকে কার্যক্রম সম্পন্ন হলে চিকিৎসক-নার্সরা বেতন পাবেন।