কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঞ্চল্যকর কলেজ-অধ্যক্ষ হত্যা এবং বস্তাবন্দি করে লাশ গুমের ঘটনায় মূলহোতা পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গরু জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার গভীর রাতে র্যাব ১৫ ও র্যাব ৭-এর একটি যৌথ অভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, স্কুলশিক্ষক আরিফের সঙ্গে প্রতিবেশী পেকুয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীরের মধ্যে জায়গা জমির বিরোধ ছিল। এই বিরোধের সূত্র ধরে গত ৫ আগস্টের পর আরিফকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর এবং অপর আটক রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান অভিযানের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে এবং মূলহোতা ও প্রধান পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তিনি অধ্যক্ষ আরিফকে অপহরণ, ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, হত্যাকাণ্ড এবং বস্তাবন্দি করে পুকুরে লাশ গুম করার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আরিফকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ১৪ দিন পর গত ১১ অক্টোবর আরিফের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে আরিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ড কক্সবাজারসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাবের এই সফল অভিযানে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হওয়ায় মামলার অগ্রগতি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত