ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বেতিতে কর্মসংস্থান হয়েছে মানিকগঞ্জের নারী-পুরুষসহ কয়েক হাজার লোকের। দামে কম ও টেকসই হওয়ার কারণে প্লাস্টিকের পণ্যের প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার যাবরা গ্রামেই গড়ে উঠেছে ১০টির মতো কারখানা। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় গড়ে উঠেছে এই প্লাস্টিকের কারখানা।
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত তুলা, কাপরসহ বিভিন্ন পণ্যের গাইড বাঁধা ব্যবহৃত প্লাস্টিক বেতি সংগ্রহ করে চলছে কারখানা। আগে এসব প্লাস্টিকের বেতি ফেলে দেওয়া হতো। বর্তমানে এগুলো বিক্রি হচ্ছে। কারখানার লোকজন এই প্লাস্টিকের বেত ক্রয় করে এনে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন। একদিকে বাঁশ বেতের উপর চাপ কমেছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থান হয়েছে নারী-পুরুষের।
এক সময়ের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বেতি দিয়েই তৈরি হচ্ছে ডোল, ঘরের সেলিং, ঘরের বেড়া, এমনকি মাটি ধরে রাখার জন্য চেগারসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই প্লাস্টিকের বেতি দিয়ে সরঞ্জাম।
যাবরা মায়ের দোয়া প্লাস্টিকের বেড়ার দোকানের শ্রমিকরা জানান, এই কারখানায় কাজ করে দিনে তিন থেকে চারশত টাকা আয় হয়। এলাকার বেকারত্ব ঘুচিয়েছে এই কারখানা। এ কারখানায় ১০-১২ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। মৌসুমে আরও বেশি শ্রমিক কাজ করে থাকেন। প্রতি কেজি বেড়া তৈরি করে শ্রমিকরা পান ২৩ টাকা।
তারা বলেন, আমরা বাইরে কাজ করতে পারি না। বাড়ির কাছে এই কারখানা হওয়ায় আমরা কাজ করে খাচ্ছি। সংসারের কাজ করে বাকি সময় এখানে কাজ করি। সময়ও কাটে বাড়তি আয়ও হয়।
গাঙডুবি এলাকার সমেজ আলী বলেন, আমার ঘরের বেড়া ও সেলিং এই প্লাস্টিক দিয়ে দেয়া। অনেক দিন হয়েছে কিছুই হয়নি। আজ বেড়ার জন্য অর্ডার দিতে আসলাম।
যাবরা মায়ের দোয়া প্লাস্টিকের বেড়া কারখানার মালিক মো. নুরুন্নবি সরকার বলেন, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। ১০ জন কর্মচারী দিয়ে কারখানাটি চালাই। সকালে-বিকেলে আমি দেখাশোনা করি। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। ছোট পরিসরে ব্যবসা। মোটামুটি ভালো আছেন বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই