‘ও টুনির মা’-খ্যাত গায়ক প্রমিত কুমার। এক যুগ আগের গাওয়া একটিমাত্র গান দিয়েই দর্শকমনে জায়গা করে নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ভাইরাল হওয়া এই গানের শিল্পী দেশ-বিদেশে করেছেন অসংখ্য স্টেজ শো। এখনো সমানতালে গান করে যাচ্ছেন তিনি। এই শিল্পীর সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
সবাই এখনো ‘ও টুনির মা’ গান দিয়েই চেনেন...
গানটি আমাকে ২০০৯ সাল থেকে এখনো অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছে। এতটা কখনো প্রত্যাশা করিনি। গানটি কিন্তু আমার লেখা ও সুর করা। অথচ তখন এই গানটি চলবে না বলে অনেকে বলেছিল। সবাই টুনির মা গানটি কম বেশি শুনেছে। কিন্তু এর কণ্ঠশিল্পীকে অনেকেই চেনে না।
সে সময় ভারত সফরেই টানা ৩০টি স্টেজ শো করেন। সামনে কোনো স্টেজ শো আছে?
গত বছর ভারতে কোনো স্টেজ শো করিনি। এর আগে গিয়েছি, ডিসেম্বরে কেরালায় দুবার। তবে পূজার সময় কলকাতা-আসামে যাওয়ার কথা রয়েছে। দুবাই যাওয়ার কথা, তবে ভিসা না হলে কিছুই বলতে পারছি না।
‘টুনি’ সিরিজে আরও ২০টি গান করেছেন। ভবিষ্যতে ‘টুনি’ সিরিজের আরও গান করবেন?
করেছি ‘টুনি এখন টিকটকার’। এই গানটির ভিডিও বাকি রয়েছে। গানটি লিখেছেন প্রধুন কুমার আর সুর করেছি আমি নিজেই। আসলে ‘ও টুনির মা’ প্রকাশের পর থেকেই দর্শকের অনেক প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়েছি। একজন শিল্পীর জন্য এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে!
নতুন আর কোনো গান?
নতুন গানের মধ্যে আসবে ‘ও আমার চেয়ারম্যান টু’। অন্যদিকে লায়নিক মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে প্রস্তুত রয়েছে ‘যৌবনকালে দাদি বউ পাইলাম না’-এর নতুন ভার্সন।
‘প্রমিত কুমার’ চ্যানেল থেকে নিয়মিত গান আসবে?
চেষ্টা করছি। চ্যানেলটির অবস্থা ভালো। তিন বছরে প্রায় ৩০টি কনটেন্ট প্রকাশ করেছি। মানুষও দেখছে। এই কনটেন্টগুলোর অডিয়েন্স ৭০-৭২ শতাংশ ইন্ডিয়ার আর বাকিরা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের। একটা কথা তো বলতেই হয়, আমরা এক সময় কোম্পানির কাছে জিম্মি ছিলাম। আমরা গান দিয়েছি অডিও-ভিডিওর জন্য কিন্তু ডিজিটাল রাইট তো দিইনি। তারা বিনা অনুমতিতে ডিজিটাল রাইট থেকে টাকা কামিয়েছে। তাই আমি আমার ৩০০-৩৫০টি গানের মধ্যে থেকে ১২টি জনপ্রিয় গান কপিরাইট করে আমার চ্যানেলে দিয়েছি। বাকি যে গানগুলো মানুষ শোনে, সেগুলো স্ট্রাইক দিয়ে রেখেছি।
তার মানে শুরু থেকেই প্রতারিত হয়েছেন?
২০০৯ সাল থেকেই প্রতারিত! নাই কোনো নিউজ, প্রচার। আমাকে তেমন করে লাইভ শোর জন্য ডাকেনি। ‘ও টুনির মা’র জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তো ডাকার কথা ছিল, তাই না? তবে ২০১০ ও ২০১১ সালে পরপর দুবার কলকাতার আনন্দলোক ম্যাগাজিনে আমার ফিচার হয়। যেটি ছিল আমার জন্য বড় অর্জন। অথচ দেশীয় মিডিয়া আমাকে মূল্যায়ন করেনি। হয়তোবা কোনো অদৃশ্য শক্তি ছিল।
নিজের সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে এখন ভাবনা কী?
এক সময় টাকার জন্য অনেক গান করেছি। সেটা কিছুটা ভুল ছিল। এখন আর টাকার পেছনে ছুটব না। ভালো, মানসম্পন্ন গান করব। সেভাবেই এগোচ্ছি।