শবনম
১৯৬১ সালে মুস্তাফিজের ‘হারানো সুর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে শবনমের। ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানে স্থায়ী হন। ১৯৯৯ সালে পুনরায় বাংলাদেশে এসে কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপর তাঁকে আর বড় পর্দায় দেখা না গেলেও এখনো দর্শক তাঁর কথা ভোলেননি।
শাবানা
১৯৬২ সালে নির্মাতা আজিজুর রহমানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসে নির্মাতা এহতেশামের ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী ও ১৯৬৭ সালে একই নির্মাতার ‘চকোরি’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৯৭ সালে অভিনয়জীবন থেকে অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন। বিদেশে থাকলেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়ে গেছে।
সুচন্দা
১৯৬৬ সালে সুভাষ দত্তের ‘কাগজের নৌকা’ ছবির মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে সুচন্দার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত অভিনয় করে যান তিনি। এখনো অভিনেত্রী, নির্মাতা হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সুচন্দা।
ববিতা
১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবির মাধ্যমে চিত্রজগতে অভিষেক ববিতার। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই শ ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে সর্বশেষ অভিনয় করেন নার্গিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিতে। তিনি এখন সংসার ও সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকলেও দর্শক তাঁকে মিস করেন।
অঞ্জনা
১৯৭৬ সালে শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে নৃত্যপটীয়সী এ নায়িকার। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চরিত্র রূপায়ণ করেন। ২০০৮ সালে ‘ভুল’ ও ‘হাঙ্গামা’ নামের দুটি ছবিতে অভিনয় করেন। এখনো তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন।
অঞ্জু ঘোষ
১৯৮২ সালে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে অঞ্জুর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৮৯ সালে তাঁর অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ অপ্রত্যাশিত ব্যবসা করে।
১৯৯৬ সালে কলকাতায় প্রবাসী হন। ২০১৮ সালে ঢাকায় এসে তিনি সাইদুর রহমান সাইদ পরিচালিত ‘মধুর ক্যান্টিন’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন।
শাবনাজ
১৯৯১ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যম বড় পর্দায় আসেন শাবনাজ। ২০০৪ সালে সংসার আর ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ নায়িকাকে এখনো ভোলেননি দর্শক।