অল্প সময়েই অভিনয়ে নিজের মেধার প্রমাণ দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয় দর্শকমহলে। তাই এ সময়ের আলোচিত নির্মাতারাও তাঁকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সম্প্রতি নতুন একটি ওয়েব কনটেন্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
অমির ‘হাউ সুইট’-এর মাধ্যমে অপূর্বর সঙ্গে ফের কাজ করছেন...
হুমমম...‘হাউ সুইট’ দিয়ে অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে আবারও ওটিটিতে কাজ হচ্ছে। ওটিটিতে আমি আর অপূর্ব ভাইয়ের এর আগে একটি কাজ হলেও বেশি করেছি নাটকে কাজ। নতুন কাজটিও ভালো কিছুই হবে বলে আশা রাখি।
‘হাউ সুইট’-এর কবে শুটিং হওয়ার পরিকল্পনা?
নভেম্বরে ‘হাউ সুইট’ এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা। ঢাকা, বরিশাল এবং দেশের বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন লোকেশনে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করছেন নির্মাতা। এতে একটি রোমান্টিক ও একটি আইটেম গান থাকবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বঙ্গতে ওয়েব কনটেন্টটি আগামী বছর ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাবে বলেই জানি।
অপূর্বর কোন দিকটা আপনার কাছে বিশেষ?
অভিনয়ের সময় অপূর্ব ভাইয়ের চোখ কথা বলে। অভিনয়ের সময় তাঁর চোখে তাকিয়ে অভিনয় করা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়।
অমির সঙ্গেও তো অনেক কাজ হয়েছে আপনার...
আসলে আমার ক্যারিয়ারে কাজল আরেফিন অমির ভূমিকা অনেক। এক্স বয়ফ্রেন্ডে যদি তিনি আমাকে ব্রেক না দিতেন হয়তো আজকে আমি আপনাদের সামনে বসে কথা বলতে পারতাম না। আমাদের একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। সবশেষ অসময়ে আমাকে দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন।
দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘প্রতীক্ষা’ করার কথা ছিল...
ছবিতে থাকছি না। আসলে ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওয়ার্কশপ ও শুটিংয়ে যোগ দিতে পারিনি। তাই করিনি।
সম্প্রতি ‘চক্র’ রিলিজ পেয়েছে। এটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এ কাজটি করার সময় বেশকিছু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। এক পর্যায়ে মনে প্রশ্ন জাগে- কাজটি করা আমার ঠিক হচ্ছে কি না? এরপর অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে ‘চক্র’ এলো। এটাই আনন্দের। তবে কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গেলে আমি বলব- এ সিরিজের শুটিংয়ে আমাদের সবারই কমবেশি বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন আমরা যেখানে বা যে হাউসটিতে শুটিং করি, সেখানে প্রথম যেদিন গিয়েছিলাম সেদিনই আমার ভিতরে নেগেটিভ কিছু বিষয় উপলব্ধি হয়।
সেটা কেমন?
শুটিং চলাকালীন আমি একবার কারণ ছাড়াই অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমাদের নির্মাতা ভিকি ভাইয়ার পা ভেঙে যায়। তারপর শুটিং চলাকালীন আমি প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকি। তারপর আমাদের শুটিং ইউনিটের অনেকেই কারণ ছাড়া আমাদের সেট থেকে চলে যাচ্ছিলেন, যেটির ব্যাখ্যা আসলে আমরা এখনো পাইনি।