লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছেই। হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজার ও রেডিওতে বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই আক্রমণ চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান থেকে টানা হামলা চালানোর পর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দু'দিনের এই সংঘাতে ইসরায়েলের হামলার ফলে অন্তত ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আরও ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর এই হামলার পর লেবাননে এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় অনেক লেবাননবাসী এখন তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বৈরুতের এক রাস্তার পাশে মোস্তফা সিবাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, "এটা আর ছোট কোনো ঘটনা নয়, এখন এটি পুরোদস্তুর যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। আমরা আমাদের ফোন আর নিরাপদ মনে করছি না। গতকালের ঘটনার পর আমি আমার ফোন মোটরসাইকেলে রেখে চলে এসেছি।"
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত আল-মানার টেলিভিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আবারও সীমান্ত এলাকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে।
বুধবার হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের ব্যবহৃত রেডিওতে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০৮ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণটি দেশজুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার রেডিওতে প্রভাব ফেলেছে, যা লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ২,৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। এদিকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল