যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে লেবাননের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বৈরুতের রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর সাথে সংযুক্ত সড়কগুলোতে আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লেবানন থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই আহ্বান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে বিমানবন্দরটি খোলা থাকুক এবং এর সাথে সংযুক্ত সড়কগুলোও খোলা থাকুক, যাতে শুধুমাত্র মার্কিন নাগরিকরা নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও সহজে বেরিয়ে যেতে পারেন।
এই আহ্বান এমন সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহরে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। সেখানে রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্বেগ বিশেষ করে লেবানন থেকে তাদের নিজ নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার সাথে সম্পর্কিত।
এদিকে ইসরায়েলের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে হামাস ও হিজবুল্লাহ। সোমবার ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছেন ওই দুই সশস্ত্র সংগঠনের যোদ্ধারা। এ সময় ইসরায়েলজুড়ে সতর্কসংকেত বাজতে শোনা যায়।
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গতকাল ভোরে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালান তাদের যোদ্ধারা। এরপর বিকেলেও একই শহরে দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালান তারা। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি উত্তর ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালায় হিজবুল্লাহ।
হাইফার দক্ষিণে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেই ঘাঁটি লক্ষ্য করেই ফাদি-১ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। হাইফার থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের আরেক ইসরায়েলি শহর তিবেরিয়াসেও গতকাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে সংগঠনটি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তিবেরিয়াসের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে তারা। সূত্র : আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল