লেবানন থেকে শনিবার ইসরায়েলের দিকে অন্তত ১১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এদিন বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার কারণে সতর্ক সাইরেন বাজানো হয়। তবে হতাহতের পরিসংখ্যান বা অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে লেবানন থেকে আসা একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। নেতানিয়াহুর মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়, সিজারিয়ায় অবস্থিত বাসভবনে হামলা হলেও প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আজকের হামলায় হাইফাসহ উত্তর ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে ৫০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিছু রকেট আকাশেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার উত্তর গাজার জালাবিয়াতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ৮৫ জন আহত হন। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি সেনারা ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালেও ‘ব্যাপক গুলি’ চালিয়েছে।
মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের আরেকটি বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জবিল এলাকায় হিজবুল্লাহর এক উপকমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫১৯ জন নিহত এবং ৯৯ হাজার ৬৩৭ জন আহত হয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল