কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। গতকাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হল সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, আকস্মিকভাবে ও মুহূর্তের মধ্যেই মারামারি শুরু হয়ে যায়। হল প্রভোস্টরাও জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে তারা ভাঙচুর ঠেকাতে পারেননি। উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর হলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই যাতে কক্ষ বরাদ্দ পান তা নিশ্চিত করা হবে। হল পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং হল প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই রাতে রোকেয়া হল ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ৯ নেত্রীকে হল থেকে মারধর করে বের করে দেয় আন্দোলনকারীদের একাংশ। অন্যান্য হল থেকেও ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে দেওয়া হয়।
কোনো কোনো হলে ছাত্রলীগ নেতাদের না পেয়ে তাদের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। স্যার এ এফ রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বিজয় একাত্তর হলে সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, মাস্টার দা সূর্যসেন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, কবি জসীম উদ্দিন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি ১৪টি হলে ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ’ মর্মে অঙ্গীকারনামায় প্রাধ্যক্ষদের স্বাক্ষর আদায় করেন হামলাকারীরা।