বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে হাই কোর্টের আদেশের ওপর ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। আদালতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুস্তাফিজুর রহমান খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ বিষয়ে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদেশে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সব সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি দেওয়া ওই আদেশে বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ উদ্ধার এবং বিদেশে থেকে টাকা ফেরাতে বলা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তথ্য সরবরাহ, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে ও সম্পত্তি সংযুক্ত করতে রুল জারি করেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে (বর্তমানে গ্রেপ্তার) রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।