বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে আহত পরিবহন শ্রমিক সোহেলের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীকে অপহরণ ও গুমের ঘটনায় করা মামলায় বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
গতকাল কারাগার থেকে উল্লিখিত আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।
মামলায় সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টায় খিলগাঁও থানাধীন শহীদ বাকি সড়কে খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুক্ত হন মো. সোহেল (৩৪)। তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে সরকারদলীয় সমর্থকসহ পুলিশ ছাত্র-জনতার দিকে ইটপাটকেল, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলিসহ সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে। ফলে মামলার বাদীর ডান হাতের ওপর এবং কপালে গুলি লাগে। এ ঘটনায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউলের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে পিলখানার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করার কারণে সেনাবাহিনী থেকে জোর করে কর্নেল তৌহিদুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়। এরপর তিনি ২০১৬ সালে খালেদা জিয়ার প্রধান প্রটেকশন অফিসার (নিরাপত্তা রক্ষী) হিসেবে কাজ শুরু করেন। ওই সময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা রক্ষী পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। সরতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে তাকে গুম করা হয়। এরপর দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অন্যায়ভাবে ২৫ দিন জেল খাটানো হয়।