শেখ হাসিনার ১০০ বছর জেল হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দায়ের সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি ২১ আগস্ট মামলায় বিনা কারণে আসামি হতে পারেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি দুই কোটি টাকার মামলায় পাঁচ বছর জেল খাটতে পারেন, তাহলে ১১৮টা মামলার জন্য শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে এনে ১০০ বছরের জেল হওয়া উচিত। গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য যে চেষ্টা করে গেছেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে সেই আশা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘ইউটিউব থেকে শুনেছি, তিনি বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে আছেন। এমন কথা বলতে তার লজ্জা লাগে না। এরশাদ তো চোর ও বাটপার ছিলেন। ক্ষমতা দখল করেছিলেন জোর করে। তবুও তিনি কিন্তু দেশ থেকে পালাইয়া যান নাই। আর আপনি ছিলেন গণতন্ত্র হত্যাকারী, আপনি ছিলেন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মামলা দেওয়ার হুকুমদাতা।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমার নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি করেন না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে মৃত ব্যক্তির ভোট যেন আর বাংলাদেশে না হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ