সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ত্বকের যত্নের বিশেষ পদ্ধতি ‘কোলাজেন স্লিপিং মাস্ক’। যদিও কয়েক বছর ধরে স্কিন কেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে স্লিপিং মাস্ক। টিকটকের স্কিন ইনফ্লুয়েন্সারদের মতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের এ যত্নে সকালে পাওয়া যাবে নরম ও গ্লোয়িং ত্বক। মূলত স্লিপিং মাস্কের প্রধান কাজ হলো ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা ও ত্বক আর্দ্র করা। ঘুমের দীর্ঘ সময়ে স্লিপিং মাস্কের উপাদানগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ত্বকের রোমকূপ থেকে ময়লা বা ধুলা প্রবেশেও বাধা দেয় স্লিপিং মাস্ক। স্লিপিং মাস্ক সাধারণত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ত্বকে রাখতে হয়।
আর ঘুমের পুরো সময়কে বিশেষজ্ঞরা রিপেয়ার সার্কেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁদের মতে রাতের এ সময় ত্বক মেরামতের জন্য স্লিপিং মাস্কের প্রতিটি উপাদান আলাদাভাবে কাজ করতে পারে। জেল বা হালকা ক্রিম ফরমুলার স্লিপিং মাস্ক ত্বকের পোর বন্ধ না করে বরং ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হাইড্রেটের জোগান দেয়। যাঁদের বয়স ৩০ বা তার বেশি, স্লিপিং মাস্ক তাঁদের ব্যবহার করাই ভালো। এ ছাড়া শুষ্ক ও সাধারণ ত্বকে স্লিপিং মাস্কের উপকার পাওয়া যাবে। অ্যাকটিভ একনেযুক্ত, তৈলাক্ত বা খুব স্পর্শকাতর ত্বকে স্লিপিং মাস্ক ব্যবহারে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া যে মাস্কে অ্যালকোহল আছে, তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। এ উপাদান লম্বা সময় ধরে ত্বকে লেগে থাকলে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সবার ত্বকের ধরন আলাদা হয়। তাই স্লিপিং মাস্ক ব্যবহারের আগে উপাদান দেখে নেওয়াই ভালো। আবার যে কোনো ত্বকের সমস্যায় চিকিৎসা নিতে থাকা অবস্থায় স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করা যাবে কি না, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
তথ্যসূত্র : লাইফস্টাইল ডেস্ক