সমীক্ষায় দেখা গেছে, ত্বক ও চুলের প্রায় ৮০ শতাংশ সমস্যার কারণ দূষণ। মানছি, হয়তো এটা এড়ানো এক কথায় অসম্ভব। তাই নজর দিন আফটার কেয়ারে। এ ক্ষেত্রে শুধু নামিদামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেই হবে না, সঙ্গে দরকার কিছু স্পেশাল কেয়ারও।
দূষণের প্রভাব
♦ ওজোন স্তরের ফটোকেমিক্যাল স্মগ ত্বকের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই-র ঘাটতি সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকের বয়সও দ্রুত বাড়তে থাকে। পাশাপাশি ত্বকের ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতাও কমে আসে।
♦ ধুলোবালির সংস্পর্শে এলে ত্বক বেশি পরিমাণে সিবাম তৈরি করা শুরু করে, যা থেকে র্যাশ, অ্যাকনের মতো সমস্যাও বেড়ে যায়।
♦ দূষণে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্সও নষ্ট হয়ে যায়।
♦ ভিটামিন ই-র পাশাপাশি স্কোয়ালিনের (ত্বকের প্রয়োজনীয় এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) ঘাটতির জন্যও দায়ী পলিউশন।
♦ ত্বকের গুড কোলেস্টেরলও পলিউশনের কারণে হ্রাস পেতে থাকে, যা ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ করে তুলতে পারে।
কীভাবে যত্ন নেবেন
দূষণ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে হলে সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। পলিউশন থেকে ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হওয়া থেকে বাঁচাতে নিয়মিত পরিচর্যায় বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাখার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি ধুলোবালির হাত থেকে রক্ষা করতে ভালো ফেসওয়াশও প্রয়োজন। ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখা এবং তৈলাক্তভাব নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ৪-৬.৫-এর মধ্যে থাকে। অ্যালকোহলযুক্ত প্রসাধনী পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া আরও কিছু দিকে নজর রাখুন।
♦ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ প্রসাধনী বাছুন। ভিটামিন ই, সি, স্কোয়ালিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইত্যাদি যুক্ত প্রসাধনী বাছতে পারেন।
♦ প্রতিদিন ফেসওয়াশের সঙ্গে জেন্টল স্ক্রাবিং ও ময়েশ্চারাইজিং প্রয়োজন। সকালে-বিকালে সিটিএম (ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং) মেনে চলুন।
♦ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল-বেসড এবং স্বাভাবিক থেকে শুষ্ক ত্বকের জন্য সিরাম-বেসড প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন।
♦ সরাসরি ত্বকে মেকআপ ব্যবহার বন্ধ করুন। ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তবেই কোনো মেকআপ করবেন।
♦ দিনের বেলা বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন মাস্ট।
♦ রোদে চুলেরও যথেষ্ট ক্ষতি হয়। সানস্ক্রিনের মতোই চুলের জন্য ইউ-ভি সুরক্ষাযুক্ত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন।