কালবৈশাখী ঝড় আসার আগেই দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাঠের ধান ঘরে তুলতে কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ কারণে অনেক এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করা হচ্ছে। ধান ক্ষেতে এবার রোগবালাই কম। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ন্যায্য দাম পেলে কৃষকরা লাভবান হবে। ফলনও হয়েছে আশাতীত। কৃষকদের আবাদকৃত ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মিনিগেট, জিরাশাইল, ব্রি-২৮, ২৯, ৫৮, ৭৪, ৮১, ৮৮, ৮৯ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইব্রিড জাতের ধান।
বিরামপুরের মুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ উপজেলায় পুরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়ার কাজ চলছে। তিনি এবার ৮বিঘা জমিতে জিরাশাইল জাতের ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য বছর বোরো ধান জমিতে ফলন কম হলেও এবার প্রতি বিঘা (.৩৩ শতক) জমিতে ২৫/২৬ মন হারে ফলন হয়েছে।
বিরামপুর পৌর শহরের ধান আড়ৎদার হুমায়ুন কবীর জানান, সদ্য কেটে আনা সরু ধান ৯৫০টাকা এবং মোটা ধান ৭শ’ টাকা মন দরে বেচা-কেনা চলছে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিক্সন চদ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৫ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বোরো ক্ষেতে কোন রোগ বালাই নেই এবং অনুকুল আবহাওয়া থাকলে বিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফসল ঘর উঠবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
