কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই নদীনালা, খালবিলে পানি থই থই করছে। বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে নৌকার প্রয়োজন হয়। এরই মধ্যে এ এলাকায় হাটবাজারে নৌকার জমজমাট বিকিকিনি শুরু হয়েছে। সরেজমিন উপজেলার হাটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা বাজারেই নৌকা বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় গৌরীপুর বাজারে কয়েকজন নৌকা ক্রেতা-বিক্রেতা বলেন, নৌকার বাজার এখন মধ্যবস্থায় রয়েছে। অতি বৃষ্টিতে পানি বাড়লে নৌকা বিক্রয় আরও বাড়বে। গৌরীপুর বাজারের নৌকা হাটের ইজারাদার জানান, এবার এখনো নৌকা বাজার জমে ওঠেনি। নিচু এলাকার জমি ও খালবিলের পানি থাকে প্রায় চার মাস। এ সময় এই অঞ্চলে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যমও হচ্ছে নৌকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ অঞ্চলের ছোট ছোট নৌকা তৈরি কারিগররা কয়েক মাস ধরে শত শত নৌকা তৈরি করে রেখেছেন। অনেকে এখনো নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত আছেন। নৌকা বিক্রি করতে আসা হোমনার মাথাভাঙ্গা গ্রামের কার্তিক দাস জানান, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নৌকা বিক্রি শুরু হয়। এবার তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আশাবাদী এ মৌসুমে নৌকা বিক্রি ভালো হবে।
তিনি বলেন, এবার আমি বিক্রয়ের জন্য ছোট-বড় ৩৫টি নৌকা বানিয়েছি। এর মধ্যে এখনো ১৫টি নৌকা বিক্রি করতে পারিনি। নৌকা ব্যবসায়ী সুজন সাহা জানান, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকে নৌকা বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার তেমন একটা বৃষ্টি না হওয়ায় এখনো নৌকার হাট জমে ওঠেনি।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বড় হাটবাজারে সপ্তাহের একদিন নৌকা বিক্রয় হয়ে থাকে। এবার বিভিন্ন বাজারে ছোট নৌকা ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের নৌকা ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, তিন মাস নৌকা বিকিনিকি করে থাকে। বছরের অন্যান্য সময়ে কৃষি কাজ করে থাকেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে কাঠ ও নৌকা বানানের উপকরণের দাম বেশি। সেই তুলনায় হাটে নৌকার দাম কম। তারপরও আমরা এ ব্যবসা ধরে রেখেছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ