মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদাম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদামের দাম আগের থেকে অনেক বেশি। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর চরাঞ্চলে এ ফসলের চাষ বাড়ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় এ বছর ৬২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হেক্টর মহম্মদপুরে, বাকি দুই হেক্টর চাষ হয়েছে শ্রীপুর উপজেলাতে।
কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছে, এ মৌসুমে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল উপজেলার মাধবপুর, চর মাধবপুর, গয়েশপুর, বাহিরচর এলাকায় আগে কোনো ফসল চাষ হতো না। এখানকার কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিয়ে এ বাদাম চাষে নিয়ে এসেছি। আগামীতে বাদাম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষি অফিস আশা প্রকাশ করে।
কৃষকরা জানান, আগে এ বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে আমরা কোনো ফসল চাষাবাদ করতাম না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০ থেকে ১২ বছর আমরা এ চরাঞ্চলে বাদামের চাষ করছি। বাদাম চাষে খরচ কম লাভ বেশি। বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে আমরা বাদাম বিক্রি করতে পারি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময় এ চাষে আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। আগামীতে বাদাম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, প্রচণ্ড দাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে বাদামের ফলন কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। যেখানে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ৯ মণ হওয়ার কথা সেখানে ৫ থেকে ৬ মণ করে গড় ফলন হয়েছে। জেলা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, চিনা বাদাম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। মাগুরায় এ বছর খরিফ-১ মৌসুমে ৬৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মহম্মদপুর উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর।
চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল বারী-৫, ৮, ৯ ও বিনা-৪ জাতের বাদাম চাষ করেছে। তবে আশার কথা, বাজারে আগের থেকে বাদামের দাম অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর চরাঞ্চলে বাদাম চাষ বাড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ