কালো বিনির ভাপা পিঠা। নাম যেমন অদ্ভুত সুন্দর। তেমনি খেতেও মজাদার। সাধারণ ভাপা পিঠার মতোই তৈরি হলেও। চালের কারণে স্বাধ্য ও গন্ধে রয়েছে ভিন্নতা। তাই ক্রেতাদের আকর্ষণও বেশি। এরই মধ্যে রাঙামাটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কালো বিনির ভাপা পিঠা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় রাঙামাটির আসামবস্তি অর্থাৎ আসাম পল্লীতে ওই এলাকার নারীরা জুমের বিনির চাল সংগ্রহ করে তৈরি করতো ভাপা পিঠা, পাঠি সাপ্টা, বিনি হুয়া ও কলা পিঠা। এসব পিঠার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে কালো বিনির ভাপা পিঠা। রঙ ও স্বাধে ভিন্নতার কারণে মানুষের কাছে বেশি পছন্দ এ পিঠা। তবে এখন শুধু আসামবস্তির নারীরা নয়, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাও তৈরি করে এ বিনি চালের ভাপা পিঠা।
স্থানীয় কালো বিনির ভাপা পিঠা ব্যবসায়ী শ্যাপালি সিংহ জানায়, শীত মৌসুমে বেশি জমে বিনি চালের পিঠা পুলি। চাহিদা বেশি। তাই বিক্রিও বেশি হয়। তবে মানুষ বেশি পছন্দ করে বিনি চালের ভাপা পিঠা। রাঙামাটি সাধারণত দু’ রঙে বিনি চাল পাওয়া যায়। একটা লাল অন্যটা কালো। এ চাল সাধারণত জুমে হয়। তাই সব বাজারে পাওয়া যায়না এ চাল। তাই দাম ও একটু বেশি । ৩৮০ টাকা পুঁজি দিয়ে ভাপা পিঠার ব্যবসা শুরু করা যায়। যেমন চালের দাম ১৪০ টাকা, নারিকেল ১০০ আর গুড় ১৪০টাকা। এসব উপকরণ থাকলে যে কেউ তৈরি করতে পারে এ ভাপা পিঠা। আর প্রতিটি ভাপা পিঠার দাম মাত্র ৩০ টাকা। তাই খরচের চেয়ে লাভ অনেক বেশি।
রাঙামাটির শহরের আসামবস্তি, তবলছড়ি ও স্টেডিয়াম এলাকায় পাওয়া যায় এই কালো বিনি চালের ভাপা পিঠা। তাই সন্ধ্যা নামলে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় করে ওইসব এলাকায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ