১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৯:৩৯

নবান্নের বার্তায় উৎসবে মেতেছে শেকৃবি

শেকৃবি প্রতিনিধি

নবান্নের বার্তায় উৎসবে মেতেছে শেকৃবি

‘কৃষিই কৃষ্টি-কৃষিই সমৃদ্ধি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে আদিকাল থেকে সারাদেশেই বিশেষত গ্রামীণ জনপদে ঘটা করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। পাশাপাশি জাতীয়ভাবে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ দিনটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জাতীয় কৃষি দিবস হিসেবে।

শুক্রবার শেকৃবির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি, পিঠা উৎসব, কৃষি বিষয়ক চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে গ্রামীন আবহে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সাথে নিয়ে কৃষক-কিষাণি সেজে র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালি শেষে উপাচার্য যোগ দেন নবান্ন মেলায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের ১৫টি স্টল বাহারি পিঠাসহ কৃষিজাত খাদ্যদ্রব্যের নানান পসরা সাজিয়ে বসেন। ডিম সুন্দরী, ফুল পিঠা, পুলি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, বুটের সন্দেশ, কটকটি, দুধচিতই, মিষ্টি পুলি, দুধ পুলি, ফুলঝুড়ি, সাঁঝ, পাটিসাপটা, ঝিনুক পিঠা, গাজরের নাড়ু, বরফি, সবজি পাকোড়া ও পায়েশসহ বিচিত্র নামের ২ শতাধিক খাদ্যদ্রব্য প্রদর্শিত হয় এসব স্টলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। অগ্রহায়ণের শুরুতেই এপার ও ওপার বাংলাতে চলে উৎসবের নানা আয়োজন। নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। নবান্ন সত্যিই হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বহিরাগতদের সমাগমে অভূতপূর্ব আমেজ সৃষ্টি করেছিল গ্রামীন আবহে উদযাপিত বাঙালিয়ানার অতিপরিচিত এ নবান্ন উৎসব।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর