পুরাতনকে ঝেড়ে নতুন বাংলা বছর বরণ করতে প্রস্তুত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যে বর্ষবরণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, বৈশাখ বাঙালির শত বছরের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে প্রতি বছরই বর্ণিল আয়োজন দিবসটি উদযাপিত হয়। এবারও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে রোজার কারণে অনুষ্ঠান কিছুটা সংক্ষিপ্ত হবে।
শান্তির বার্তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহে স্বস্তির বৃষ্টি এই ধরায় আবার প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। দূর হবে সকল ক্লান্তি। নতুন বছরে সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও যুদ্ধ-বিগ্রহের অবসান ঘটিয়ে এই বিশ্ব হোক শান্তির নীড় সেই প্রত্যাশা করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈশাখ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য তৈরি হয়েছে নানা ডামি, পুতুল, পঙ্খিরাজ ঘোড়া, হাত পাখা, নারী ও পুরুষের মুখোশ। ককশিট কেটে দিনভর এসব প্রস্তুত করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্য যা দেশের জাতীয় সংস্কৃতির ধারাকে সমৃদ্ধ করেছে। এই উৎসব শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা নিয়ে যুগ যুগ টিকে থাকুক।
মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, বৈশাখের এই উৎসবকে বর্ণিল করতে কয়েকদিন ধরেই কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে
মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডামি। এর প্রত্যেকটিতে ভিন্ন ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। হাত পাখার ডামির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়, দেশে অর্থনীতি চাকা গতিশীলতার প্রতীক হিসেবে পঙ্খিরাজ ঘোড়া এবং বাঙালি লোক-সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে নারী ও পুরুষের মুখোশসহ বিভিন্ন টেপা পুতুলের ডামি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল