সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চলের জনপদ ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুশিয়ারা, লোভা ও সারি নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলা।
বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধেক জনপদ তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাটের সাথে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল ৩৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট, দরবস্ত ও চারিকাটা ইউনিয়নের বেশিভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষের জন্য ২২ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট সদর ও কানাইঘাটের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত