সিলেটে দেড় মাসের কন্যাশিশুকে গলা কেটে খুন ও বাবার অর্ধেক গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর দাবি- মাথা ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বাবা আতিকুর রহমান মেয়ে ইনায়া রহমানকে গলা কাটার পর নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। শিশুর মা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবার জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের এমন কারণ উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
নিহত শিশু ইনায়া রহমান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুর রহমানের মেয়ে। আতিকুর রহমান স্ত্রী ঝুমা বেগম ও মেয়েকে নিয়ে সিলেট মহানগরীর ইসলামপুরে কোরেশি ভিলার পেছনে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় তিনি সিএনজি অটোরিকশাচালক। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাবা-মায়ের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাসার বাথরুমে নিয়ে শিশু ইনায়াকে গলাকেটে খুন করে তার বাবা আতিকুর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, প্রচণ্ড মাথা ব্যথার কারণে তার মাথা কাজ করছিল না। মাথায় কি হয়েছিল তিনি বুঝতে পারেননি। মাথা ব্যথা সহ্য করতে না পেরে তিনি শিশু কন্যাকে গলা কেটে খুন করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম জানান, দুপুরের খাওয়া শেষে ঘুম থেকে উঠতে দেখেন- তার স্বামী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর তার নিজের গলা কাটছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুইমাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আতিকুর রহমান। বিকেল ৫টার দিকে শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের ভেতর শিশু ইনায়ার গলাকাটা লাশ ও রক্তাক্ত অবস্থায় আতিকুর রহমানকে দেখতে পান। পরে আতিকুর রহমানকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে তার গলায় অস্ত্রোপচার হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত আতিকুর রহমান এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল