সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভার ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণ ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য জাহিদ সারওয়ার বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। গত রবিবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনার পর পুলিশ চারজনকে আটক করে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যারা ভাঙচুর করেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই’।
জানা গেছে, গত রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। গোয়াইপাড়ার সামনে আসার পর মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উত্তেজিত নেতাকর্মী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে নগরীর রিকাবিবাজারে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে লাগানো ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও তোরণ ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে আটক করে। আটকরা হলেন- ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ। মঙ্গলবার ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।।
মামলা প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস বলেন, ‘মামলা রুজু হয়েছে, এখন সেটি তদন্ত করা হবে। হামলার পর যে চারজনকে আটক করা হয়েছিল তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
