সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী লিলু হত্যার মিশনে ভাড়াটে কিলার মাহবুবুর রহমানকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাখলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে তার স্বীকারোক্তিতে, ঘটনাস্থল ভিকটিম লিলু মিয়ার বাড়ির পার্শ্ববর্তী খাল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র (রামদা) ও আসামির জুতা উদ্ধার করে পিবিআই। এর দুদিন পূর্বে গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) মাহবুবুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তারা।
সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতা, এলাকার একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষী ও গ্রামের ফটিক ডাকাত ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি পক্ষ লিলু মিয়ার উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত ছিলো। তারা বিভিন্ন ভাবে লিলু মিয়াকে হত্যার সুযোগ খুঁজছিলো। খুনের মিশন বাস্তবায়ন করতেই সুনামগঞ্জ কারাগারে থাকাকালে কিলার মাহবুবকে ভাড়া করা হয়। পরে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাহবুবকে নিয়ে লিলু মিয়াকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় শেষে হত্যার চুড়ান্ত ছক আঁকা হয়। পরে একাধিকবার ঘটনাস্থল রেকি করার পর ঘটনার দিন সন্ধ্যারাতে ভিকটিমের বসতঘরের পাশেই তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
লিলু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, ‘এ মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ক্রসফায়ারে নিহত নওধার গ্রামের ফটিক ডাকাতের চাচাতো ভাই আফজালকে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। হত্যাকান্ডে তাকে ভাড়া করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে তার স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও তার জুতো উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর গ্রেফতার আসামি আফজালের চাচাতো ভাই ফটিক ডাকাত কয়েক বছর পূর্বে ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এ ঘটনায় তার পরিবার লিলু মিয়াকে দায়ী করে আসছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা; এ তথ্য এলাকায় চাউর ছিলো। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট রাতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষে ফেরার পথে বসতঘরের কাছেই নওধার গ্রামের ব্যবসায়ী লিলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল